পেটফাঁপার সমস্যায় অনেক মানুষই ভোগেন, যার কারণ ভিন্ন হতে পারে ব্যক্তিভেদে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। যেমন, রাতে খাওয়ার পর শোয়া এড়িয়ে চলা উচিত, যা অনেকেই জানেন কিন্তু মেনে চলেন না। স্বাস্থ্যকর পানীয় খাওয়ার অভ্যাসও এই সমস্যায় উপকারী হতে পারে। রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান সকালে খালি পেটে স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দেন। এর মধ্যে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মেশানো একটি কার্যকরী উপায়। তিনটি পদ্ধতিতে কুসুম গরম পানিতে লেবু যোগ করা যেতে পারে: প্রথমে কেবল লেবুর রস, তারপর লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পান করা, অথবা লেবুর রস ও কালিজিরা মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রেখে পান করা। এই পানীয়গুলির মধ্যে যে কোনো একটি নিয়মিত খেলে পেটফাঁপার সমস্যা দূর হতে পারে।
১। আদা-পানি : খালি পেটে খেতে পারেন আদা–পানি,আধা ইঞ্চি আদা নিন। স্লাইস করে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। খালি পেটে খেয়ে নিন।
২। সহজ ডিটক্স পানি : ডিটক্স পানি পানেও পাওয়া যাবে উপকার,ঘুম থেকে উঠে আধা গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এরপর কাঁচা খাওয়া যায়, এমন কোনো ফল বা সবজি বড় টুকরা করে কেটে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পাত্রটি ঢেকে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর এটিই হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার। এই পানি খেয়ে নিন। ফলটি কিন্তু একটি লেবুর টুকরাও হতে পারে। আবার এক গ্লাস উষ্ণ পানি, অর্থাৎ যা কুসুমের চেয়ে একটু বেশি গরম, তাতে শুধু লেবুর বড় একটা টুকরা ভিজিয়ে ঢেকে রাখলেও চলবে। এই পানি একটু ঠান্ডা হয়ে গেলেই খেয়ে নিন।
৩। চিয়াবীজ ভেজানো পানীয় : এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ চিয়াবীজ,এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ চিয়াবীজ ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। পেটফাঁপা রোধে ভূমিকা রাখে এই পানীয়।
৪। ইসবগুলের ভুসি মেশানো পানি : এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ ইসবগুলের ভুসি ভিজিয়ে ঝটপট খেয়ে নিন। এই পানীয়তেও আপনার পেটফাঁপার সমস্যা দূর হবে।
৫। এছাড়াও সকালে খালি পেটে কেবল এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেলেও কিন্তু উপকার পাবেন।